ভাসানচরে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে প্রয়োজন পরবে আরো নার্স/ স্বাস্থ্যকর্মী, নিয়োগ দেবে NGO গুলো।
গতকালের বিবিসির একটি শর্ট নিউজে ভাসানচরে রোহিঙ্গা স্থানতরকে কেন্দ্র করে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টির কথা বলা হয়। বিষয়টিকে বিবেচনায় এনে মাইনার্সিং ক্লাবের পক্ষ থেকে বিস্তারিত তথ্যের ভিত্তিতে একটি প্রতিবেদন পেশ করা হচ্ছে, বাংলাদেশের সকল নার্সিং চাকরি প্রত্যশিদের জন্য।
আজ সন্ধায় ভাসানচর প্রকল্প পরিচালক বলেন এসব রোহিঙ্গাদের খাদ্য, স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা সহায়তা নিশ্চিতে ভাসানচরে কাজ করছে মোট ২৩টি এনজিও। (সূত্রঃ এনটিভি)
mynursing.club থেকে ভাসানচর প্রকল্প পরিচালককে মুঠোফোনে কয়েকবার যোগাযোগের চেষ্টা করার পর সন্ধ্যা ৬ টার দিকে কিছু প্রশ্ন করার সুযোগ মেলে। জানতে চেয়েছিলাম ডাক্তার এবং নার্স নিয়োগের বিষয়ে কোনো তথ্য আছে কিনা?
তিনি জানান ইতোমধ্যে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর অধীনে সরকারীভাবে চিকিৎসার ব্যাপারে যথাযথ ব্যাবস্থা নেয়া হয়েছে। নতুন করে ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগের ব্যাপারে আমি কিছু বলতে পারছিনা এই মুহুর্তে।
এরপর MSI (NGO) এর বর্তমান তত্বাবধায়কের সাথে কথা হয় mynursing থেকে। তিনি জানান (ইংরেজিতে), স্যানিটেশন, শিক্ষা ও খাদ্য সহায়তা দিয়ে থাকেন তারা। চিকিৎসা সহায়তা যারা দেন তাদের বেশ কিছু টিম কাজ ভাগ করে নিয়েছেন নিজেদের মধ্যে।
ukhiyanews এর রিপোর্টার আদনান সাদিকের মাধ্যমে একজন মেডিক্যাল টিম লিডারের সাথে কথা হয়। তিনি জানান তারা গত ১৫ দিন যাবৎ ভাসানচরে রয়েছেন। তাদের সাথে নতুন আরেকটি টিম কাজ করবেন আগামী জানুয়ারি থেকে। নতুন নিয়োগের বি্ষয়ে জানতে চাইলে তিনি অন্য একজনকে ফোন ধরিয়ে দেন। তিনি জানান বিডি জবসের মাধ্যমে তাদের NGO ইতো মধ্যেই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিলো। নিয়োগ চূরান্ত এখনো হয়নি।
এদিকে icddr,b এর ক্যাম্প ইন্চার্জের ফোনে অনেকবার চেষ্টা করার পরো যোগাযোগ করা যায়নি।
বিবিসি এর সর্বশেষ তথ্যসুত্র মতে, ক্রমান্বয়ে রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে আসার মধ্য দিয়ে চিকিৎসাসেবার জন্য পাঁচ শতাধিক স্বাস্থ্যকর্মী প্রয়োজন পরবে। এদিকে স্থায়ী ও উন্নত হাসপাতাল করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত সরকার নেবে, আন্তর্জাতিক মহলের অবস্হান ও রোহিঙ্গাদের স্থানান্তরের অবস্থার উপর বিবেচনা করে। ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের চিকিৎসাসেবা দিতে বেশ কিছু হাসপাতল ও ক্যাম্প প্রস্তুত করা হয়েছে।কক্সবাজারের প্রকল্প পরিচালক মো. জনাব আলী বলেন এখানেও ভালো মানের হাসপাতাল গড়ে তোলা সম্ভব। যা পর্বর্তীতে পরিস্থির উপর বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
ভাসানচর কোথায় ও কেন?
ভাসানচর নোয়াখালী জেলার হাতিয়া উপজেলার চর ঈশ্বর ইউনিয়ন এর অন্তর্গত। মেঘনা নদী ও বঙ্গোপসাগরের মোহনায় জেগে ওঠা বাংলাদেশের একটি ছোট্ট দ্বীপ ভাসানচর। রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তরের জন্য ২ হাজার ৩১২ কোটি টাকা ব্যয়ে আশ্রয়ণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে সরকার। জোয়ার ও জলোচ্ছ্বাস থেকে সেখানকার ৪০ বর্গকিলোমিটার এলাকা রক্ষা করতে ১৩ কিলোমিটার বাঁধ দেওয়া হয়েছে। সেখানে এক লাখ রোহিঙ্গার বসবাসের উপযোগী ১২০টি গুচ্ছগ্রামের অবকাঠামো তৈরি করা হয়েছে।
কারা কাজ করবে সেখানে এবং নার্স নিয়োগ কারা করবেন?
রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তা দেওয়া দেশি-বিদেশি অন্তত ২২টি বেসরকারি সংস্থার (এনজিও) প্রতিনিধিদল গত রবিবার পৌঁছেছে নোয়াখালীর ভাসানচরে। ভাসানচরে যে ২২টি এনজিও গেছে সেগুলো হলো পালস বাংলাদেশ সোসাইটি, কুয়েত সোসাইটি ফর রিলিফ, ফ্রেন্ডশিপ, এসএডাব্লিউএবি, শারজাহ চ্যারিটি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ, গ্লোবাল উন্নয়ন সেবা সংস্থা, আল-মানসিল ওয়েলফেয়ার, সনি ইন্টারন্যাশনাল, আলহাজ শামসুল হক ফাউন্ডেশন, হেল্প দ্য নিডি চ্যারিটেবল ট্রাস্ট, জনসেবা কেন্দ্র, কারিতাস বাংলাদেশ, সমাজকল্যাণ ও উন্নয়ন সংস্থা (স্কাস), সোশ্যাল এইড, সিডিডি, মুক্তি কক্সবাজার, ভলান্টারি অর্গানাইজেশন ফর সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট, আরটিএম ইন্টারন্যাশনাল, মাল্টি সার্ভিস ইন্টারন্যাশনাল (এমএসআই), আল্লামা ফজলুল্লাহ ফাউন্ডেশন, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র ও হেলথ অ্যান্ড এডুকেশন ফর অল (হায়েফা)।
এছাড়াও আরো কিছু এনজিও সেখানে দ্রুত কাজ শুরু করবেন বলে জানা যায় বিবিসি সূত্রে।