শিশুর স্থূলতার সমস্যা কি? কেন হয়? কমানোর উপায় কি?
লেখক,
অধ্যাপক প্রণব কুমার চৌধুরী,
শিশুস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ
------------------------
আজকাল শিশুদের মধ্যেও স্থূলতার সমস্যা বেড়ে যাচ্ছে। কিন্তু যেসব শিশু স্থূল বা ওজন স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি, তারা বিভিন্ন রােগের ঝুঁকিতে থাকে। শিশুর বয়স ও উচ্চতা অনুপাতে স্বাভাবিকের চেয়ে ওজন ১২০ শতাংশ বা তার বেশি হলে কিংবা বিএমআই ৯৫ ছাড়িয়ে গেলে তাকে স্থূলতা বলা যায়। আর শিশুর বিএমআই ৮৫-এর বেশি হলে তাকে ওভারওয়েট বা অতিরিক্ত ওজন বলে।
স্থূলতার সমস্যা কেন হয়
- মা-বাবার স্থূলতার সমস্যা থাকলে,
- সুষম পুষ্টিকর খাবার নিশ্চিত করা না হলে শিশুরও স্থূলতার সমস্যা হতে পারে।
- একেবারেই কায়িক শ্রম না করাও স্থূলতার একটি কারণ হতে পারে।
- রক্তে গ্লুকোজ, থাইরয়েড হরমােনসহ কিছু পরীক্ষায় স্থূলতার সুনির্দিষ্ট কারণ নির্ণয় করা যেতে পারে।
ঝুঁকি কমানাের উপায়
- গর্ভাবস্থায় মায়ের ওজন যেন অতিরিক্ত বেড়ে না যায়, সে চেষ্টা করতে হবে।
- গর্ভকালীন ডায়াবেটিস থাকলে তা সুনিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে, না হলে শিশুর ওজন বেড়ে যেতে পারে।
- জন্মের পর প্রথম ছয় মাস পর্যন্ত শিশুকে শুধু বুকের দুধ দিতে হবে।
- বয়স ৬ মাস হয়ে গেলে শিশুকে নানা ধরনের খাদ্যের সমন্বয়ে সুষম খাবার দিতে হবে। তবে অতিরিক্ত
- গর্ভকালীন ডায়াবেটিস থাকলে তা সুনিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। না হলে শিশুর ওজন বেড়ে যেতে পারে।
- শর্করা ও অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলতে হবে।
- সময়ানুযায়ী খাবার খাওয়াতে হবে শিশুকে।
- স্কুলপড়ুয়া অনেক শিশু সকালের নাশতা না খেয়েই বিদ্যালয়ে চলে যায়, এটা ঠিক নয়।
- শিশুকে টেলিভিশন বা কম্পিউটার দেখিয়ে খাওয়ানাে যাবে না।
- শিশুকে খাওয়ানাের সময় ছােট প্লেট ব্যবহার করবেন। তবে একসঙ্গে অনেক কিছু খাওয়ানাের অভ্যাস করার চেষ্টা করবেন না। জোর করেও খাওয়াবেন না।
- শিশুকে প্রতিদিনই খেলাধুলার সুযােগ দিন, শরীরচর্চা বা কায়িক শ্রম করতে উৎসাহিত করুন।
- বেশি বেশি মিষ্টি, চকলেট, কেক | পেস্ট্রি বা বেকারির খাবার দেবেন না। জুস, কোমল পানীয় ইত্যাদি এড়িয়ে চলবেন। শিশুকে তাজা ফলমূল ও ফলের রস খাওয়ান।