কাটা জায়গা তাড়াতাড়ি শুকানোর উপায়

 কাটা জায়গা তাড়াতাড়ি শুকানোর উপায়


শরীরের কোনো অঙ্গ কেটে গেলে আমরা ভয় পেয়ে যাই। তাই কোথাও কেটে গেলে ভয় না পেয়ে আশে-পাশে কেউ থাকলে তার কাছে নিয়ে যাবেন। এরপর কাটা স্থানটি পরিষ্কার করে ওষুধ লাগিয়ে নিবেন। কাটা স্থানটি গভীর হলে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাবেন।

কাটা ঘা তাড়াতাড়ি শুকানো নিয়ে অনেক চিন্তাই থাকেন। তাই আপনারা যদি কাটা ঘা তাড়াতাড়ি শুকানোর উপায় সম্পর্কে জানতে চান তাহলে নিচের লেখাগুলো মনোযোগ সহকারে পড়ুন।


ঘরোয়া পদ্ধতিতে কাটা জায়গা তাড়াতাড়ি শুকানোর উপায়

মধু

মধুতে রয়েছে প্রাকৃতিক অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল পদার্থ যা প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। তাই কোথাও কেটে গেলে কাটা স্থানে অল্প পরিমাণে মধু ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়া প্রতিদিন ২-৩ চা চামচ মধু খেলে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়ে এবং কাটা বা ক্ষত স্থানটি তাড়াতাড়ি শুকাতে সাহায্য করে।

ইপসম সল্ট

ইপসম সল্ট আমাদের কাটা জায়গা শুকাতে বা প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। তাই কুসুম গরম পানিতে ইপসম সল্ট মিশিয়ে কাটা স্থানটি ১৫-২০ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন।

আলভেরা জেল

আলভেরা জেল তার নিরাময় বৈশিষ্ট্যের জন্য বেশি পরিচিত। অল্প পরিমাণে আলভেরা জেল কাটা স্থানে লাগিয়ে গজ কাপড় দিয়ে ডেকে রাখলে দ্রুত উপসম হবে।

আপেল সাইডার ভিনেগার

প্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপটিক বৈশিষ্ট্য সমৃদ্ধ হচ্ছে আপেল সাইডার ভিনেগার। এটি পানিতে মিশিয়ে পাতলা করে তুলার বল বানিয়ে কাটা স্থানে লাগিয়ে নিন।

চা গাছের তেল

চা গাছের তেলে রয়েছে প্রাকৃতিক অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল যা প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। ক্যারিয়ার অয়েলের সাথে কয়েক ফোঁটা চা গাছের তেল মিশিয়ে কাটা স্থানে লাগিয়ে নিন।

কিন্তু একটা কথা মনে রাখতে হবে খুব ছোটখাটো কাটা ঘা এবং স্ক্র্যাপের জন্য এগুলো ব্যবহার করতে পারবেন। আর যদি ক্ষত স্থান গভীর হয় তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চলতে হবে।

কাটা ঘা শুকানোর ক্রিম

কাটা ঘা শুকানোর জন্য কিছু ক্রিম রয়েছে যেগুলো আপনি ব্যবহার করতে পারেন। এই ক্রিম গুলো কাটা ঘা শুকানোর পাশাপাশি ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক বা মশা-মাছি ও অন্যান্য পোকামাকর থেকে রক্ষা করে। ক্রিমগুলোর নাম হলো-
  • ব্যাকট্রোসিন ক্রিম
  • এফান ক্রিম

ব্যবহারের নিয়মঃ

ক্রিমগুলো প্রতিদিন কাটা স্থানে ২-৩ বার ব্যবহার করতে হবে। এভাবে ১০-১১ দিন লাগালে ভালো ফলাফল পাবেন।

এছাড়া কাটা ঘা শুকানোর জন্য নিচের এই মলমগুলো ব্যবহার করতে পারেন।
  • ট্রাগো মলম
  • পভিসেপ মলম

ব্যবহারের নিয়মঃ

এই মলমগুলো প্রতিদিন কাটা স্থানে ২-৩ বার ব্যবহার করতে হবে। আর এভাবে ৮-১০ দিন লাগালে ভালো ফলাফল পাবেন।

কাটা ঘা শুকানোর এন্টিবায়োটিক ওষুধের নাম

ছোটখাটো অ্যাক্সিডেন্ট কারণে হওয়া ক্ষত বা কাটা স্থান শুকানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের ওষুধ সেবন করার প্রয়োজন হয়। আর ক্ষত গভীর হলে সব সময় সাধারণ ট্যাবলেটে নিরাময় হয় না। তখন কাটা ঘা শুগানোর জন্য এন্টিবায়োটিক ওষুধের প্রয়োজন হয়। এন্টিবায়োটিক ওষুধগুলোর নাম হলো-
  • Flucloxacillin sodium BP (ফ্লুক্লোক্সাসিলিন সোডিয়াম বিপি)
  • Cipro-A 500ms (সিপ্রো-এ 500 মি)
  • Fluclox 500mg (ফ্লুক্লক্স 500 মিলিগ্রাম)
  • Pentids 400mg (পেন্টিডস 400 মিলিগ্রাম)
  • Phoylopen DS (ফিলোপেন ডিএস)
উপরে উল্লেখিত ঔষধগুলো শরীরের গভীর ক্ষত ও কাটা ছেঁড়া দূর করার জন্য বেশ কার্যকারী। তবে অবশ্যি যেকোনো এন্টিবায়োটিক ঔষধ গ্রহণের পূর্বে একজন রেজিস্ট্রেড ডাক্তারের পরামর্শ ও প্রেস্কিপশন থাকতে হবে। কেননা অনেক এন্টিবায়োটিকের বিরুপ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থেকে থাকে। তাছাড়া রোগির অবস্থা বিবেচনায় সব সময় সব এন্টিবায়োটিক গ্রহণযোগ্য নাও হতে পারে।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url