হাম হলে কি খেতে হয় এবং কি কি খেতে হয় না
হাম একটি ভাইরাসজনিত রোগ। এই রোগটি আবার জার্মান মিজলস নামেও পরিচিত। হাম রোগ শিশুদের বেশি হয় বলে, এখন ১৮ মাস বয়সী শিশুদের হামের ভ্যাকসিন দেওয়া হয়। শুধু শিশুদের নয় বড়দেরো হাম হতে পারে। তাই হামের প্রতিষেধক হিসেবে বড়দের ‘এমএমআর’ ভ্যাকসিন দেওয়া হয়। এই ভ্যাকসিন দেওয়া না থাকলে হামে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তবে হাম একবার হয়ে গেলে দ্বিতীয় বার হওয়ার আশঙ্কা থাকে না। তবে সচেতন থাকা ভালো, কেননা হাম একটি ছোঁয়াচে রোগ।
হামের উপসর্গ
এমন কিছু খাবার আছে যেগুলো হাম দেখা দেবার পর খেলে পুরো শরীরে দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে। তাই উপসর্গ গুলো দেখা দিলে খাবারের পরিবর্তন আনতে হবে। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক হাম রোগে আক্রান্ত হলে কি খাওয়া উচিত এবং কি খাওয়া উচিত নয়।
হাম হলে কি খেতে হবে
- ভিটামিন সি: হাম রোগে আক্রান্ত হলে ভিটামিন সি জাতীয় ফল যেমন জাম্বুরা, লেবু, কমলালেবু, আঙুর, আনারস, পেঁপে, জাম ইত্যাদি ফল খেতে পারেন। কেননা ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে।
- ভিটামিন এ: পালং শাক, মিষ্টি কুমড়া, গাজর ইত্যাদি ভিটামিন এ সমৃদ্ধ শাক-সবজি বেশি করে খাবেন। তাহলে হামের জটিলতা কমে আসবে এবং দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠতে পারবেন।
- নরম খাবার: হাম রোগে আক্রান্ত রোগীদের সিরিয়াল, গোটা শস্য, ফলের রস, স্যুপ ইত্যাদি নরম খাবার খেতে দেবেন।
- আদা ও মিষ্টি তুলসী পাতা: হাম রোগে আক্রান্ত হওয়ায় যদি শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে তাহলে আধা কাপ পানিতে সামান্য আদা এবং ২-৩ টি মিষ্টি তুলসী পাতা নিয়ে কিছুক্ষণ সেদ্ধ করে পান করবেন।
- মাছ, মাংস, দুধ ও ডিম: হামে আক্রান্ত হলে মাছ, মাংস, দুধ, ডিম নিয়মিত খেতে হবে। এতে দেহের পুষ্টি চাহিদা ঠিকভাবে পূরণ হবে।
- পানি: হামে আক্রান্ত হলে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে, যদি পানিশূন্যতা দেখা দেয়।
হাম হলে কি কি খেতে হয় না
- চর্বিযুক্ত খাবার হজমে জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে এবং রোগের জটিলতা বাড়িয়ে তুলতে পারে। তাই হামে আক্রান্ত অবস্থায় চর্বিযুক্ত খাবার একদম খাওয়া যাবেনা।
- প্রক্রিয়াজাত খাবার যেমন চিপস, বার্গার, পেস্ট্রি, কেক, টিনজাত স্যুপ ইত্যাদি এড়িয়ে চলতে হবে।
- ক্যাফেইনযুক্ত খাবার যেমন- কফি, চা, কোমল পানীয় ইত্যাদি গ্রহণ করলে হামে আক্রান্ত অবস্থায় নানারকম জটিলতার সৃষ্টি হতে পারে। তাই ক্যাফেইনযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলতে হবে।