চিকন হওয়ার ১১টি উপায়

চিকন হওয়ার উপায়

শরীরের বাড়তি মেদ নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভুগছেন এমন অনেক মানুষ রয়েছেন আমাদের চারপাশে। অনেকে ছোটবেলা থেকেই মোটা আবার অনেকে হঠাৎ করে মোটা হয়ে গিয়েছেন। মোটা যেভাবেই হয়ে থাকুননা কেন, চিকন হবার জন্য প্রসেসটা কিন্তু সবার ক্ষেত্রেই প্রায় একই। অনেকে দুশ্চিন্তা করেন, চিকন হবার উপায় ও করণীয় বুঝতে না পেরে। আবার অনেকে মনে করেন না খেয়ে থাকলে চিকন হওয়া যায়। যদিও এতে কিছুটা উপকৃত হবেন, তবে না খেয়ে চিকন হওয়া মোটেও সঠিক প্রক্রিয়া নয়।

চিকন হওয়ার জন্য বেশ কিছু উপায় ও করণীয় রয়েছে। যা মেনে চলতে পারলে আশানুরুপ ফল পাওয়া সম্ভব। তাহলে চলুন জেনে নেয়া যাক চিকন হওয়ার উপায়সমূহ।

চিকন হওয়ার উপায়

চিকন হওয়ার কয়েকটি ঘরোয়া উপায় নিচে তুলে ধরা হলো-
  • লেবু পানি: প্রতিদিন সকালে খালি পেটে কুসুম গরম পানির সাথে লেবুর রস মিশিয়ে পান করতে পারেন। কেননা লেবু পানি চর্বি ঝড়িয়ে চিকন হতে সাহায্য করে।
  • আঁশযুক্ত খাবার: চিকন হতে চাইলে আঁশযুক্ত খাবার যেমন- গোটা শস্য, বার্লি, স্ট্রবেরি, ওটস ইত্যাদি বেশি পরিমাণ খেতে পারেন। কেননা আঁশযুক্ত খাবার চিকন হতে সাহায্য করে।
  • ব্ল্যাক কফি: চিনিযুক্ত কফি কম বেশি সবাই পছন্দ করেন, যা মোটা হতে সহায়তা করে। এজন্য যারা চিকন হতে চান তারা চিনিযুক্ত কফি বাদ দিয়ে ব্ল্যাক কফি খেতে পারেন। কেননা এতে আছে চিকন হওয়ার সক্রিয় উপাদান। এছাড়াও ব্ল্যাক কফি হজম শক্তি বাড়ায় এবং চর্বি ঝরাতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
  • গ্রিন টি: ব্ল্যাক কফির মতো গ্রিন টিও ওজন কমাতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। গ্রিন টিতে ক্যাফেইনের মাত্রা অল্প পরিমাণে থাকে। কিন্তু প্রচুর পরিমাণে ক্যাটেচিন নামক এক ধরনের শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডন্ট থাকে। আর এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলো ক্যাফেইনের সাথে যুক্ত হয়ে কাজ করে এবং দ্রুত চর্বি ঝরিয়ে চিকন হতে সাহায্য করে।
  • শর্করা ও চিনিযুক্ত খাবার: চিকন হতে চাইলে চিনিযুক্ত খাবার যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন। পাশাপাশি শর্করা জাতীয় খাবার যেমন- ভাত, আলু, ভুট্টা, রুটি ইত্যাদি কম পরিমাণে খেতে হবে।
  • প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার খান: প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার বাদ দিয়ে দিলে শরীরের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিবে। এজন্য চিকন হওয়ার খাদাতালিকায় প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার যেমন- মাছ, মুরগির মাংস, ডিম, দুধ, ডাল ইত্যাদি যোগ করুন। তবে লাল মাংস (খাসির মাংস, গরুর মাংস, হরিণের মাংস ইত্যাদি) এড়িয়ে চলুন।
  • প্রক্রিয়াজাত খাবার: প্রক্রিয়াজাত খাবার যেমদ- কেক, কোমল পানীয়, বার্গার, পেস্ট্রি, সান্ডউইচ ইত্যাদি এড়িয়ে চলুন। কেননা এতে উচ্চমাত্রায় ক্যালরি রয়েছে, যা মোট হতে সাহায্য করে।
  • শাকসবজি ও ফলমূল: গবেষণা দেখা গেছে, শাকসবজি ও ফলমূল বেশি পরিমাণে খেলে দ্রুত চিকন হওয়া যায়। কেননা এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, খনিজ, ফাইবারের মতো বিভিন্ন ধরনের উপাদান রয়েছে, যা চর্বি ঝরাতে সাহায্য করে।
  • পানি পান করুন: প্রতিদিন ৮-১২ গ্লাস পানি পান করলে শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ ও ক্ষতিকর চর্বি বের হয়ে যাবে। এতে করে শরীর হাইড্রেট থাকবে এবং চর্বি জমা না হয়ে বিছিন্ন হয়ে যাবে। পানি মেটাবলিজম বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এছাড়াও প্রত্যক বেলার খাবার খাওয়ার আগে এক গ্লাস পানি খেলে খাবারের চাহিদা কমে আসে।
  • রাতের খাবার: চিকন হওয়ার ক্ষেত্রে রাতের খাবার ঘুমাতে যাওয়ার ২ ঘণ্টা আগে খাওয়া উচিত। কারণ রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে খাবার খেলে শরীরে অতিরিক্ত ফ্যাট জমতে শুরু করে। আর ঘুমাতে যাওয়ার নূন্যতম ২ ঘন্টা আগে খেলে অতিরিক্ত ফ্যাট জমার প্রবণতা কমে যায়
  • ব্যায়াম: অতিরিক্ত ওজন কমাতে চাইলে ডায়েটের পাশাপাশি কিছু হালকা পাতলা ব্যায়াম করতে পারেন। যেমন- জোরে জোরে হাঁটা বা দৌঁড়ানো, সিঁড়ি দিয়ে উঠানামা করা, সাইকেল চালানো ইত্যাদি করতে পারেন। এসব ব্যায়াম শরীরের থেকে প্রচুর পরিমাণে চর্বি ঝরাতে সাহায্য করবে।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url