ই ক্যাপ এর উপকারিতা ও অপকারিতা

ই ক্যাপ এর উপকারিতা ও অপকারিতা

চুল ও ত্বকের যত্নে ই ক্যাপ এর জুড়ি নেই। এটি চুল পড়া রোধ করতে এবং ত্বকের সৌন্দর্য বাড়িয়ে তুলতে অনেক ভালো কাজ করে। এর ভালো দিকের কোনো শেষ নেই। তবে অনেক সময় ব্যবহারের ভুলের কারণে ই ক্যাপ এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।

ই ক্যাপ শুধু চুল ও ত্বকের জন্য উপকারি নয়। এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বৃদ্ধি করতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই অনেকে শরীর সুস্থ রাখতে ই ক্যাপ গ্রহণ করেন। 

কোনো কিছু গ্রহণ করার আগে তার উপকারিতা ও অপকারিতা দুয়েই জেনে নেওয়া উচিত। তাহলে চলুন এই আর্টিকেল থেকে ই ক্যাপ এর উপকারিতা ও অপকারিতা জেনে নেওয়া যাক।

ই ক্যাপ এর উপকারিতা ও অপকারিতা

ভিটামিন ই ক্যাপসুল কে ই ক্যাপ বলা হয়। এটি মুখে খাওয়া যায়, আবার বাহ্যিকভাবে চুল ও ত্বকের যত্নে ব্যবহার করা যায়। ই ক্যাপ বা ভিটামিন ই ক্যাপসুলে নানা ধরনের উপকারিতা রয়েছে। তবে অন্য সব ওষুধে যে রকম উপকারিতার পাশাপাশি অপকারিতাও রয়েছে। ঠিক তেমনি ই ক্যাপ এর উপকারিতা ও অপকারিতা দুয়েই রয়েছে।

ই ক্যাপ এর উপকারিতা

ই ক্যাপ এর উপকারিতা গুলো নিচে তুলে ধরা হলো-
  • ই ক্যাপে এক ধরণের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে, যা ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে।
  • শরীরের রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
  • চুল পড়া বন্ধ করতে এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে।
  • বলিরেখা ও ত্বকে টানপড়া দূর করতে সাহায্য করে।
  • সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করতে ই ক্যাপ সাহায্য করে।
  • নখের ভঙ্গুরতা দূর করতে সাহায্য করে।
  • যেকোনো ক্ষত দ্রুত সারিয়ে তুলতে সাহায্য করে।
  • হাড়ের সমস্যা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।

ই ক্যাপ এর অপকারিতা বা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

ই ক্যাপ ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী গ্রহণ করলে তেমন কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায় না। তবে ব্যবহারের ভুলের কারণে অনেক সময় পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। নিচে এ বিষয়ে তুলে ধরা হলো-
  • অতিরিক্ত পরিমাণে ই ক্যাপ গ্রহণ করলে আমাশয় দেখা দিতে পারে।
  • অনেকের এলার্জিজনিত সমস্যা দেখা দিতে পারে।
  • বেশি পরিমাণে ই ক্যাপ গ্রহণ করলে শরীরের ওজন বেড়ে যেতে পারে।
  • অনেকের ত্বকে সারাসরি ই ক্যাপ ব্যবহার করলে ত্বকের প্রদাহ দেখা দেয়। এজন্য ই ক্যাপ এর সাথে মধু, টক দই, লেবুর রস, পেঁপে ইত্যাদি ব্যবহার করতে পারেন।
  • গর্ভবতী মায়েদের ই ক্যাপ গ্রহণ না করাই ভালো। তবে চাইলে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে ই ক্যাপ গ্রহণ করতে পারেন।

ই ক্যাপ খাওয়ার নিয়ম

ই ক্যাপ সাধারণত 200 IU এবং 400 IU হয়ে থাকে। 200 IU ক্যাপসুল দিনে 1টি বা 2টি এবং 400 IU ক্যাপসুল দিনে 1টি খেতে হবে। ই ক্যাপ খাওয়ার উপযুক্ত সময় হলো সন্ধ্যেয় হালকা নাস্তা খাওয়ার পরে। তবে সন্ধ্যায় খেতে না পারলে রাতের খাবার খাওয়ার 40 মিনিট পর ই ক্যাপ খেতে পারেন। ই ক্যাপ এর উপকারিতা পাওয়ার জন্য টানা এক মাস খেতে হবে।

রোগের ধরন অনুযায়ী
  • প্রাপ্তবয়স্করা ভিটামিন-ই এর অভাব পূরণে প্রতিদিন 200 - 400 আই ইউ (IU) ই ক্যাপ খেতে পারেন।
  • শিশুদের ভিটামিন-ই এর অভাব পূরণে প্রতিদিন 200 আই ইউ (IU) ই ক্যাপ দিতে পারেন।
  • চুল পড়া রোধ করতে প্রতিদিন 200 - 400 আই ইউ (IU) ই ক্যাপ খেতে পারেন।
  • ত্বকের যন্ত্রে প্রতিদিন 200 - 400 আই ইউ (IU) ই ক্যাপ খেতে পারেন।
  • বয়স্করা ঠান্ডাজনিত সমস্যায় প্রতিদিন 200 আই ইউ (IU) ই ক্যাপ খেতে পারেন।
বিশেষ কোনো সমস্যা থাকলে বা কোনো রোগীকে ই ক্যাপ দেওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। ই ক্যাপ ব্যাবহার কালীন সময় কোনো প্রকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিলে ব্যবহার বন্ধ করতে হবে এবং ডাক্তারের পরামর্শে পরবর্তীতে ব্যবহার করতে পারেন।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url