ক্যানোলা লাগানো হাতের ছবি
ক্যানোলা লাগানো হাতের ছবি নিচে দেয়া হয়েছে। হাতে ক্যানোলা লাগানো ছবি দেখে অনেকটা আইডিয়া করতে পারবেন, কি টাইপের ক্যানোলা করলে বা কোন পজিশনে ক্যানোলা করলে সহজতরভাবে করতে পারবেন।
উপরের ফটোতে একজন ডাক্তার রোগির হাতে ক্যানোলা পড়িয়ে দিচ্ছেন।
উপরের ছবিগুলোতে ক্যানোলা করা হয়েছে হাতের পাতায় (কব্জির উপরে)। বেশিরভাগ সময় এই পজিশনেই ক্যানোলা করা হয়। কারণ এই পজিশনে করলে ভেইন খুজে পেতে সহজ হয়।তবে কব্জির নিচে, এমনকি কনুই এর ভাজেও ক্যানোলা করা যেতে পারে। যেমন নিচের ফটোটি দেখুন।
হাতের পাতা বা কব্জির আশেপাশে ভাল ভেইন না পাওয়া গেলে উপরের ফটোর মতো পজিশনে করা হয়ে থাকে। এই ধরণের ক্যানোলা শিশুদের ক্ষেত্রে বেশিক্ষণ টেকশই হয়না। কারণ শিশুরা একনিতেই ছটফট করে, নাড়াচাড়ার কারণে ক্যানোলা নষ্ট হয়ে যায়। আবার বড়দের ক্ষেত্রেও দেখা যায় ঘুমের ঘোরে হাত বাকিয়ে ফেলেন, ক্যানোলার সুচের মাথা যদি কিছুটাও কনুইয়ের ভাজে থেকে থাকে, তবে হাত বাকালে নষ্ট হয়ে যায় সহজেই। তবে কনুইয়ের ভাজ থেকে দুরত্ব বজায় রেখে ক্যানোলা সেট করতে পারলে সমস্যা হয়না। দীর্ঘ সময় টিকে থাকে।
ক্যানোলা লাগানো হাত কিভাবে রাখবেন?
যে হাতে ক্যানোলা লাগানো হবে, সে হাত সাবধানতার সাথে নড়াচড়া করতে হবে। বারবার ক্যানোলা নষ্ট হতে লাগলে বারবার নতুন ভেইনে ক্যানোলা লাগাতে হয়। এক্ষেত্রে নতুন ভেইন খুজে পেতে বেগ পোহাতে হতে পারে, তাছাড়া রোগির জন্যেই কষ্টকর।
চেষ্টা করতে হবে যেন নূন্যতম ৩ থেকে ৫ দিন ক্যানোলা ঠিক থাকে। এজন্য যে হাতে ক্যানোলা করা হবে সে হাত সঠিক পজিশনে রাখতে হবে। যেমন পেটের উপর স্বাভাবিকভাবে রাখতে পারেন।
স্বাধারণত পেটের উপর রাখলে স্যালাইন ঠিকভাবে যেতে পারে, কোনো সমস্যা হয়না। তবে সবসময় পেটের উপর রাখা সম্ভব না। এক্ষেত্রে হাত টান করে বালিশের উপর রাখা যেতে পারে। আবার রোগি কোনভাবে কমফোর্ট ফিল করছে, সেটা জেনে সেভাবে রাখা যেতে পারে, তবে লক্ষ্য রাখতে হবে যেন ক্যানোলার ক্ষতি বা টান যাতে না লাগে।