ইসলামিয়া চক্ষু হাসপাতাল ঢাকা কোথায় ?
রাজধানী ঢাকার সুনামধন্য একটি হাসপাতালের নাম ইসলামিয়া চক্ষু হাসপাতাল। ব্যাস্ত ঢাকার কোথায় অবস্থিত এবং কিভাবে আসবে হাসপাতালটিতে এ বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে।
ইসলামিয়া চক্ষু হাসপাতাল ঢাকা কোথায় ?
ইসলামিয়া চক্ষু হাসপাতালের ঠিকানা: শেরে বাংলা নগর, ফার্মগেট, খামার বাড়ি রোড, ঢাকা 1215
গুগল ম্যাপ থেকে আপনি খুব সহজেই হাসপাতালটির অবস্থান খুজু বের করতে পারবেন। তাছাড়া গুগল ম্যাপ ব্যবহার করে আপনার অবস্থান থেকে কত সময় লাগবে এবং কোন বাসে আসতে পারবেন সে বিষয়েও স্পস্ট ধারণা পেয়ে যাবেন।
গুলিস্তান থেকে চক্ষু হাসপাতালে কিভাবে আসবেন?
গুলিস্তান গোলাপ শাহ মাজার থেকে- হিমাচল অথবা বাসুমতি পরিবহণ অথবা ওয়েলকাম ট্রন্সপোর্ট অথবা অন্য কোনো বাসে খামার বাড়ি নামবেন। এরপর এখান থেকে মাত্র ৩ মিনিট হাটলেই হাসপাতালের গেটে চলে আসবেন। সময় লাগবে আনুমানিক ৩০ মিনিট (রাস্তায় যদি জ্যাম কম থাকে)।
হাসপাতালে কি পার্কিং সুবিধা রয়েছে?
হ্যা, হাসপাতালটির নিজস্ব জায়গায় গাড়ী পার্কিং করতে পারবেন। তাছাড়া কম্পাউন্ডের মধ্যে বিস্তর জায়গা পাবেন নিরিবিলি একটু বসার জন্য।
ইসলামিয়া চক্ষু হাসপাতাল কত সালে ঢাকায় প্রতিষ্ঠিত হয়?
১৯৬০ সালে হাসপাতালটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠা করেছেন বাংলাদেশের সুনামধন্য শিল্পপতি ও সমাজসেবী প্রয়াত জনাব এম এ ইস্পাহানি। প্রতিষ্ঠান শুরু থেকেই হাসপাতালটি অলাভজনক ছিল এবং এখন পর্যন্ত মানুষের সেবার উদ্দ্যেশ্যে পরিচালিত হচ্ছে। শুধু বাংলাদেশ নয় বরং এশিয়া মহাদেশের মধ্যে অন্ততম এবং আঘুনিক চক্ষু হাসপাতাল হিসেবে এর খ্যাতি রয়েছে। চক্ষু রোগিদের চিকিৎসা এবং গবেষণায় বাংলাদেশে বর্তমানে নেতৃস্থানীয় প্রতিষ্ঠান এটি।
ঢাকার বাইরে আর কোথায় শাখা রয়েছে?
ঢাকার বাইরে আরো তিনটি শাখা রয়েছে ইস্পাহানি ইসলামিয়া চক্ষু হাসপাতালের। শাখা তিনটি অবস্থিত জামালপুর, বরিশাল এবং নওগাঁ জেলায়। গ্রাম্র দরিদ্র মানুষের আধুনিক চক্ষু সেবা প্রদানের লক্ষ্যেে ইস্পাহানি চক্ষু হাসপাতাল নিরলস কাজ করে চলেছে। এই তিনটি শাখা হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে "গ্রামীণ জনগণের জন্য চক্ষু পরিচর্যা পরিষেবার অ্যাক্সেস তৈরি করা" শীর্ষক একটি প্রকল্পের অধীনে। এই প্রকল্পটি শুরু হয়েছিল এবং ORBIS ইন্টারন্যাশনাল দ্বারা সমর্থিত হয়েছে।
বিগত ১৩ বছরে হাসপাতালটির কার্যক্রম কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। পাশাপাশি সেবার মানো অনেক উন্নত করা হয়েছে। হাসপাতালটিতে সেবা নিতে এসে কোনো প্রকার হয়রানির শিকার বা দালারের খপ্পরে পড়ার সম্ভাবনা অন্য সব হাসপাতালের তুলনায় নেই বললেই চলে। মূলত বর্তমান পরিচালনা কমিটি এবং সংশ্লিষ্ট ডাক্তার, নার্স এবং অন্যান্য পেশার সবার সম্মলিত প্রচেষ্টায় এটি সম্ভব হয়েছে।