সুস্বাস্থ্যের জন্য খাদ্য তালিকা

সুস্বাস্থ্যের জন্য খাদ্য তালিকা

সুস্বাস্থ্যের জন্য নিয়মিত খেতে হবে স্বাস্থ্যকর খাবার। আমরা সকলে সুস্বাদু খাবার পেলে স্বাস্থ্যকর খাবারের কথা ভুলে যাই। এটা করা আমাদের একদম উচিত নয় এতে শরীরের ক্ষতি হয়। আর যদি নিয়মিত স্বাস্থ্যকর খাবার খাই তাহলে আমাদের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। আর সুস্বাস্থ্য মানুষকে দক্ষ মানবসম্পদ এবং সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলে। তাই প্রত্যেকের উচিত স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া। তাই এই আর্টিকেলে সুস্বাস্থ্যের জন্য কি কি খাবার খাওয়া উচিত তা নিয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে।

প্রোটিন ও তেলসমৃদ্ধ খাদ্য

প্রাণী থেকে প্রোটিন জাতীয় খাদ্য প্রতিদিন ১০০ গ্রাম খাওয়া উচিত। আর প্রাণী থেকে প্রোটিন জাতীয় খাবারগুলো হলো খুব অল্প পরিমাণে চর্বিযুক্ত মাংস, মাছ, কুসুমছাড়া ডিম ইত্যাদি।

উদ্ভিদ থেকে প্রোটিন জাতীয় খাদ্য

উদ্ভিদ থেকে প্রোটিন জাতীয় খাবার হলো সকল ধরণের ডাল, শিমের বিচি, ছোলা ও মটরশুঁটি প্রতিবার খাবারের সময় ৩০ গ্রাম করে খাওয়া উচিত। এই খাবারগুলো মাছ, ডিম, মাংস ও দুধ বা দুগ্ধ জাতীয় খাবারের পরির্বতে খেতে পারবেন।

দুধ ও দুগ্ধজাত খাদ্য

সুস্বাস্থ্যের জন্য দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার খাওয়ার পরিমাণ নির্দিষ্ট হতে পারে ব্যক্তির বয়স, লিঙ্গ, শারীরিক কার্যকলাপ এবং স্বাস্থ্য অবস্থার উপর ভিত্তি করে। তবে, সাধারণত একজন প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তি প্রতিদিন ২৪০ মিলিলিটার দুধ খেতে পারে। এই পরিমাণ দুধ প্রায় ১৪৯ কিলোক্যালোরি সরবরাহ করে।

উদ্ভিদ তেল ও তেলসমৃদ্ধ খাদ্য

উদ্ভিদ তেল ও তেলসমৃদ্ধ খাবারগুলো হলো: বাদাম-চিনাবাদাম, কাজুবাদাম, পেস্তাবাদাম, সরিষার তেল, সূর্যমুখীর তেল, সয়াবিন তেল, তিলের তেল, অলিভ অয়েল ইত্যাদি। এসব খাবার প্রতিদিন পরিমাণ মতো খেতে পারবেন।

তরকারি হিসেবে খেতে পারবেন: খিরাই, লাউ, শসা, কাঁচা পেঁপে, পটোল, টমেটো, চিচিঙ্গা, পুঁই শাক, কলমি শাক, কচু শাক, লাল শাক, ডাঁটা শাক, পালং শাক, করলা, ঝিঙা, মুলা, ডাঁটা, পাতাকফি, ধুন্দুল, ফুলকপি, বেগুন, চালকুমড়া, সজনে ইত্যাদি।

অন্যান্য খাদ্য হিসেবে খেতে পারবেন: মরিচ, রসুন, ধনে, পেঁয়াজ, আদা, জিরা ইত্যাদি পর্যাপ্ত পরিমাণে খেতে পারবেন। তার সাথে পরিমাণ মতো পানি পান করতে হবে। তাছাড়া নিয়মিত খাবারের তালিকায় লেবু, পেয়ারা, জাম্বুরা, কমলা, আমলকী, আমড়া ও কামরাঙ্গা ইত্যাদি খাবার রাখা উচিত। কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন- সি রয়েছে, যা আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

এছাড়া আপনি পরিমাণ মতো খেতে পারেন বিভিন্ন ধরনের ফল ও শস্য জাতীয় খাবার। যেমন:পাকা কলা, পাকা পেঁপে, পাকা বেল, কাঁঠাল, আম, লিচু, নাসপতি, আপেল, বেদানা, তরমুজ, আনারস, আঙ্গুর, আতা ফল, তাল, মিষ্টি বরই ইত্যাদি। আর শস্য জাতীয় খাদ্যের মধ্যে খেতে হবে ভাত, নুডলস, মুড়ি, খৈ, রুটি, চিঁড়া, সেমাই, সাগু, সুজি, বার্লি, ভুট্টা, আলু ইত্যাদি।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url