কাতিলা গাম ও তালমাখনা খাওয়ার নিয়ম
কাতিলা গাম খাওয়ার নিয়ম:
- কিছুটা কাতিলা গাম (৩ থেকে ৪ গ্রাম পরিমাণ) এক গ্লাস পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে।
- পানিতে ভিজে জেলের মত হয়ে গেলে এর সাথে লেবু, তালমিছরি, মধু মিশিয়ে খেলে অনেক ভালো উপকার পাবেন। সাথে যথেষ্ট পানি পান করবেন।
- কাতিলা গাম খালি পেটে বা ভরা পেটে দুই ভাবেই খেতে পারেন, তবে সকালে খালি পেটে খেলে উপকার বেশি পাবেন। এক্ষেত্রে রাতে ঘুমানোর পূর্বে যথেষ্ট পরিমাণ পানিতে ভিজিয়ে রাখবেন এবং সকালে খালিপেটে মধুসহ অন্যান্য জিনিস মিশিয়ে থেয়ে নিবেন।
তালমাখনা খাওয়ার নিয়ম
- এক গ্লাস পানিতে অল্প কিছুটা (৩ থেকে ৪ গ্রাম পরিমাণ) তালমাখনার বীজ/বীজচূর্ণ ১৫ থেকে ২০ মিনিট ভিজিয়ে রাখবেন।
- ভিজানোর ফলে তালমাখানা ফুলে উঠবে, তারপর ভেজানো পানি সহ তালমাখানা খেয়ে নিন।
- তালমাখনা প্রতিদিন সকালে খালি পেটে খেতে পারলে ভালো উপকার পাবেন তাই সকালে খাওয়ার চেষ্টা করবেন। খাওয়ার পরে ৩০ থেকে ৪০ মিনিট পানি ছাড়া অন্য কোন খাবার খাবেন না। সম্ভব হলে এই ৩০ থেকে ৪০ মিনিট সময়টা হাটা চলা করবেন যা আপনার ওজন কমাতে সাহায্য করবে।
মধু বা দুধের সাথেও তালমাখনা মিশিয়ে খেতে পারেন। তালমাখনা বীজের পাউডারও পাওয়া যায়, বীজ খেতে সমস্যা হলে পাউডার খেতে পারেন। তালমাখনা পাউডার সরাসরি ওষুধের দোকানেও পাওয়া যায়।
কাতিলা গাম ও তালমাখনা খাওয়ার নিয়ম
আল্প পরিমান কাতিলা গাম ও তালমাখনা আলাদা আলাদা পাত্রে পানিতে ভিজিয়ে রাখবেন। কাতিলা গাম পানিতে ভিজে জেলের মত হয়ে যাবে এবং তালমাখানা ফুলে উঠবে তারপর কাতিলা গাম ও তালমাখনা একসাথে ভালো করে মিশিয়ে খেয়ে নিবেন। সাথে প্রচুর পরিমাণ পানি পান করবেন এবং খাবারের নূন্যতম ৩০ মিনিট আগে খাবেন।
কাতিলা গাম ও তালমাখনা অত্যন্ত উপকারী ভেষজ ওষুধ। যৌবন শক্তি বৃদ্ধিতে কাতিলা গাম ও তালমাখনার ব্যাপক ভুমিকা ও ভেষজ গুণাবলি রয়েছে।